ছন্দ

হাসির জোকস ছন্দ ও ক্যাপশন

হাসি প্রতিটি মানুষের মন ফ্রেশ করার অন্যতম একটি উপাদান। সাধারণত একজন মানুষ হাসির মাধ্যমে নিজের মনের বিনোদন গুলো প্রকাশ করে থাকে এবং এই হাসি মানুষকে বিনোদন দিয়ে থাকে। তাইতো বন্ধুবান্ধবদের সাথে বিভিন্ন ধরনের বিনোদনমূলক আড্ডা খুনসুটিতে মানুষ হাসি ঠাট্টা করে থাকেন। এর মাধ্যমে একজন মানুষ তার বিনোদনের সুযোগ পেয়ে থাকে এবং নিজের মনকে সহজে পেশ করতে পারে। অনেকে এবার বন্ধুদেরকে বিনোদন দিতে জোকস হাসির ছন্দ ও ক্যাপশন গুলো ব্যবহার করে থাকেন। তাদের জন্য আজকে নিয়ে এসেছি আমরা জোকস হাসির ছন্দ ও ক্যাপশন সম্পর্কিত এই পোস্টটি। যেখানে আমরা হাসি নিয়ে বেশ কিছু ছন্দ জোকস তুলে ধরব এবং ক্যাপশন উপস্থাপন করব যেগুলো আপনি এবং আপনার বন্ধুদের বিনোদন লাভের জন্য ব্যবহার করতে পারবেন। আমাদের আজকের এই জোকস হাসির ছন্দ ক্যাপশনগুলো আপনাদের সবাইকে হাসাতে সাহায্য করবে।

পৃথিবীতে একজন মানুষকে সুন্দরের স্বাভাবিক জীবন যাপন করার জন্য যে অংশগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে তা অন্যতম একটি হচ্ছে হাসি। কেননা মানুষ সাধারণত নিজের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান গুলো হাসির মাধ্যমে পূরণ করে থাকে। এর মাধ্যমে মানুষ তার মনের আনন্দ অনুভূতিগুলো সকলের মাঝে তুলে ধরে। হাসি মানুষের জীবনের এমন একটি আনন্দ প্রকাশের মাধ্যম যার মাধ্যমে মানুষ নিজের জীবনের বিনোদন গুলো সহজে প্রকাশিত করতে পারে এবং নিজের মনকে ফ্রেশ করতে পারে। মানুষ যখন দুঃখ পেলে কাঁদে এবং কষ্ট পাই তেমনি আনন্দ খুশিতে হাসির মাধ্যমে বিনোদন লাভ করে এবং নিজের সুখের অনুভূতিগুলো প্রকাশ করে। প্রতিনিয়ত একজন মানুষ বিভিন্ন বিষয়ে বন্ধুদের সাথে হাসি ঠাট্টা করে থাকেন। অনেকেই হাসির জোকস গুলোর মাধ্যমে বন্ধুদেরকে বিভিন্ন বিষয়ে হাসাতে থাকে না আবার অনেকেই বিভিন্ন ধরনের হাসি মুলক স্ট্যাটাস ও ভিডিওগুলো বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করে তাদেরকে মন ফ্রেশ করার জন্য হাসানোর চেষ্টা করেন।

হাসির জোকস ছন্দ

পৃথিবীতে একজন মানুষকে সুস্থ ও সুন্দর জীবন যাপন করতে হলে অবশ্যই জীবনের সকল উপাদানের মত হাসির গুরুত্ব রয়েছে। কেননা এটি মানুষকে মনফিস করতে সাহায্য করে এবং মানুষকে সুস্থ থাকতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাইতো একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষকে প্রতিদিন পরিমাণ মতো হাসতে বলা হয়েছে। হাসির মাধ্যমে মানুষের হারের গঠন মজবুত ও শক্তিশালী হয়ে উঠে। এজন্যে আজকে নিয়ে এসেছে আমাদের ওয়েবসাইটে আমরা হাসির জোকস ছন্দ সম্পর্কিত একটি পোস্ট। যেখানে আমরা বেশ কিছু হাসির জোকস ছন্দ তুলে ধরব যা আপনাদেরকে বিনোদন দিতে সাহায্য করবে। আপনি আমাদের আজকের এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনার বিনোদন জগতের সুযোগ পেয়ে যাবেন এবং বন্ধুদেরকে বিনোদন দিতে পারবেন। নিচে হাসির জোকস ছন্দ গুলো তুলে ধরা হলো:

স্ত্রীঃ- (ঘুম থেকে উঠেই) জানো আজ আমি একটি দারুন স্বপ্ন দেখেছি।

স্বামীঃ- কি স্বপ্ন?

স্ত্রীঃ- আমি দেখলাম যে তুমি আমাকে একটি হিরের রিং গিফট করেছো।

স্বামীঃ- ও এই সাধারণ ব্যাপার। তাহলে একটি কাজ করো, আবার ঘুমিয়ে যাও, এবং সেই রিং টাকে পড়ে নিও।

—-

স্ত্রীঃ-(রেগে গিয়ে) অনেক হয়েছে তোমার ন্যাকামো, আমি তোমাকে ছেড়ে বাপের বাড়ি চললাম।

স্বামীঃ- ঠিক আছে জান, যাও।

স্ত্রীঃ- কিন্তু তোমার এই জান কথাটার জন্যই তো যেতে পারি না।

—-

দুর্গা পুজার সময়-

স্ত্রীঃ- এই যে শোনো, তোমার আরতি মনে আছে তো?

স্বামীঃ- ও হ্যাঁ, ওই যে পাতলা, চোখে কাজল, লম্বা চুল, সেই মেয়েটা না। ও তো দাস বাবুর মেয়ে মনে হয়।

স্ত্রী-(ঠাস)

—-

স্বামীঃ- আজ সবজিতে লবণ কম হয়েছে মনে হচ্ছে।

স্ত্রীঃ- লবণ ঠিকই আছে, সবজি কম হয়ে গেছে। আমি তোমাকে তো বলেই-ছিলাম একটু বেশি সবজি নিয়ে আসতে।

স্বামীঃ- আরে আলু পরোঠা বানিয়েছ তো আলুই তো নজরে আসছে না।

স্ত্রীঃ- বেশি ভাট না বকে চুপ-চাপ খেয়ে নেও, কাশ্মীরি গোলাপে কাশ্মীর থোরেই না দেখা যায়!

—-

স্বামীঃ- (মুখে নেওয়া দুধ ফেলে দিয়ে) ছিঃ এ কেমন দুধ?

স্ত্রীঃ- আরে কেশর শেষ হয়ে গেছে, তাই তোমার পকেট থেকে বিমল পানমশলা নিয়ে দুধে গুলিয়ে দিয়েছি। কারণ এতে আছে হাজার কেশরের দম।

শিক্ষকঃ- তুমি তো কিছুই পার না, আমি তোমার বয়সে কঠিন কঠিন অংক গুলিও সেকেন্ডে সমাধান করে দিতাম।

ছাত্রঃ- স্যার আপনি হয়ত ভালো শিক্ষকের ছাত্র ছিলেন। কি আর করা যায় বলুন, সবার ভাগ্য তো আর সমান হয় না।

—-

শিক্ষকঃ- তোমাদের মধ্যে কেউ বলতে পারবে, এই পৃথিবীর সবথেকে প্রাচীন প্রানীর নাম কি?

ছাত্রঃ- স্যার জেব্রা।

শিক্ষকঃ- কেনো কেনো জেব্রা কেনো?

ছাত্রঃ- স্যার আমরা জানি যে, পুরানো মানেই black & white, আর দেখাই তো যাচ্ছে, জেব্রা black and white.

হাসির জোকস ক্যাপশন

বর্তমান সময় সোশ্যাল মিডিয়া মানুষের জীবনে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হয়ে উঠেছে যার মাধ্যমে মানুষ তার জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করছে এবং প্রতিটি মুহূর্তের অনুভূতিগুলো সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ার করছে। তাইতো এখন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মানুষ বন্ধুদের কিংবা প্রতিটি মানুষকে বিনোদন দিয়ে থাকে। সোশ্যাল মিডিয়া একজন মানুষকে বিনোদন দেওয়ার জন্য হাসির জোকস ক্যাপশন গুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এজন্যই আমরা আজকে আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের উদ্দেশ্যে হাসির জোকস ক্যাপশন গুলো উপস্থাপন করেছি যেগুলো আপনি সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করার মাধ্যমে ভার্চুয়াল জগতের বন্ধুদেরকে বিনোদন দিতে পারবেন এবং তাদেরকে হাসাতে পারবেন। আমাদের আজকের এই ক্যাপশন গুলো আপনি সকলের মাঝে শেয়ার করে দিয়ে তাদেরকে জানাতে পারবেন। নিচে হাসির জোকস ক্যাপশন গুলো তুলে ধরা হলো:

হাসির জোকস ১ঃ স্বামী স্ত্রীর কথোপকথন
স্বামীঃ (স্ত্রীকে) এই শুনছাে! আমার শার্টটা ধুয়ে রাখবে। নইলে…
স্ত্রীঃ (রেগে গিয়ে) নইলে, নইলে কী করবে?
স্বামীঃ নিজেই ধুয়ে নেব।
হাসির জোকস ২ঃ
অসুস্থ ছােট ছেলে কিছুতেই ট্যাবলেট খেতে চায় না। তাই মা বাধ্য হয়ে সিদ্ধ ডিমের ভেতরে ট্যাবলেট ঢুকিয়ে ছেলেকে খেতে দেয়। কিছুক্ষণ পর মা এসে জিজ্ঞেস করলেন :
বাবা, ডিমটা কি খেয়েছ?
হ্যা মা, খেয়েছি। তবে ডিমের বিচিটা ফেলে দিয়েছ।
হাসির জোকস ৩ঃ ছাত্র শিক্ষাকের কথোপকথন
শিক্ষকঃ বল তাে ছােটন, ঢাকা কোথায় অবস্থিত?
ছােটনঃ খাটের নিচে স্যার।
শিক্ষকঃ এসব কী বল।
ছােটনঃ বাড়ির মালিক যখন ভাড়া চাইতে আসেন, তখন আম্মু বলেন আব্দু ঢাকা গেছেন। তখন তাে আব্বু খাটের নিচে থাকেন।
হাসির জোকস ৪ঃ স্বামী স্ত্রীর কথোপকথন
স্ত্রীঃ হ্যাগাে, আমি মারা গেলে তুমি কী করবে?
স্বামীঃ আমি পাগল হয়ে যাবাে।
স্ত্রীঃ মিথ্যা কথা। তুমি আবার বিয়ে করবে ।
স্বামীঃ পাগলে কী না করে?
হাসির জোকস ৫ঃ এক বালকের সঙ্গে এক নেতার কথােপকথন
বালক: মামা, ২০টি টাকা দেন তাে, মা চাইছেন!
নেতা: তুমি আমার কোন জন্মের ভাইগ্না হলে। আমার তো কোনাে বােনই নেই ।
বালক: কেন, আপনিই তাে সেদিন জনসভায় ভাষণের শুরুতে বলেছিলেন, প্রিয় ভাই ও বােনেরা ।
নেতা: হ্যা বলেছি, তাতে হয়েছে কী?
বালক: ওই জনসভায় আমার মা উপস্থিত ছিলেন। আর সেদিন থেকেই তাে আপনি আমার মামা হয়েছেন।
হাসির জোকস ৬ঃ এক ভীতু শােক নদীতে গােসল করতে গেছে
ভীতু লোক: ওহে জেলে ভাই, নদীতে সাপ নেই তাে?
জেলে: না ভাই, সাপ নেই।
ভীতু লোক: তাহলে তাে নিশ্চিন্তে গােসল করা যায়।
জেলে: হ্যা, করা যায় কিন্তু সাবধানে গােসল করতে হবে।
ভীতু লােক: কেন?
জেলে: কুমির আছে। এই কুমিরই তাে সব সাপ খেয়ে শেষ করেছে।
হাসির জোকস ৭ঃ দুই বন্ধুর কথােপকথন
ছোটন: বল তো নােমান, ঘড়ি আবিষ্কার না হলে কেমন হতো?
নােমান: ভারি মজা হতাে।
হােটন: (অশ্চির্য হয়ে) ভারি মজা হতাে মানে?
নােমান: কেন, যত ইচ্ছা দেরি করে স্কুলে যেতে পারতাম।
হাসির জোকস ৮ঃ
রাস্তায় এক পথচারী এক পকেটমারকে হাতেনাতে ধরে ফোলে। তারপর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, তুমি লােকটার পকেটে হাত ঢুকাচ্ছিলে কেন?
পকেটমার: জি, হিমেল হাওয়ার স্পর্শে হাত ঠাণ্ডা হয়ে যাচ্ছিল। আমার প্যান্টের তাে পকেট ছিল না,
তাই হাতটা একটু গরম করার জন্য ভদ্রলােকের পকেটে ঢুকাচ্ছিলাম।
হাসির জোকস ৯ঃ
শিক্ষক ছাত্রদের মাধ্যাকর্ষণ শক্তি সম্পর্কে বােঝাচ্ছিলেন। অনেকবার বােঝানাের পর শিক্ষক বললেন, ছােটন বল তাে আম পাকলে আকাশের দিকে না উঠে মাটিতে পড়ে কেন?
ছােটন: স্যার আকাশে তাে খাওয়ার কেউ নেই, তাই!
হাসির জোকস ১০ঃ ভিক্ষুক ও বাড়িওয়ালা
ভিক্ষুক: আম্মা গাে,,,,,, দুগা ভিক্ষা দিবেন।
বাড়িওয়ালী: মাফ কর।
ভিক্ষুক: ঠিক আছে তাই করবাম । তয় ভিক্ষা কিন্তু বাড়াইয় দেয়ন লাগবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button