কবিতা

হাসির কবিতা| হাসির ছন্দ ও কবিতা

হাসি মানুষের জীবনের বিনোদনের একটি অংশ। এটি মানুষের মনের আনন্দ প্রকাশ করে থাকে এবং মানুষকে বিনোদন দিয়ে থাকে। তাইতো দৈনন্দিন জীবনে প্রতিটি মানুষ নিজের মনকে ফ্রেশ করার জন্য বন্ধু-বান্ধব কিংবা আপনজনদের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে হাসি মশকরা করে থাকেন। মানুষের জীবনে এই সুন্দর বিনোদনটি তুলে ধরার জন্য অনেক কবি নিজের কবিতায় হাসি নিয়ে বিভিন্ন ধরনের তথ্য তুলে ধরেছেন। আমরা সেই কবিগনের কবিতার বই গুলোর মাধ্যমে হাসির কবিতা গুলো জানতে পারি। তাইতো আজকে আমরা প্রতিটি মানুষের উদ্দেশ্যে আমাদের ওয়েবসাইটে হাসির কবিতা গুলো তুলে ধরব। এই কবিতাগুলোর ছন্দের তালে তালে প্রতিটি মানুষ বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে হাসি মশকরা করে নিজেদের মন ফ্রেশ করতে পারবে। এক্ষেত্রে আমাদের আজকের এই হাসির কবিতা গুলো সাহায্য করবে।

হাসির কবিতা গুলোর মাধ্যমে মূলত কবিগণ প্রতিটি ছন্দে ছন্দে পাঠকদের উদ্দেশ্যে হাসি সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন যেগুলো প্রতিটি মানুষ পড়ার মাধ্যমে বিনোদনের সুযোগ পেয়ে থাকে এবং নিজের মনকে ফ্রেশ করার জন্য হাসির কবিতাগুলো তারা ব্যবহার করতে পারে। কবিতার এই সুন্দর ভাষা মূলত মানুষকে আকৃষ্ট করে তোলে এবং প্রতিটি বিষয় সম্পর্কে সুস্পষ্টভাবে ছন্দের মাধ্যমে তুলে ধরে। তাইতো পৃথিবীর প্রতিটি আধুনিক মানুষ এখন অন্যান্য সকল বিষয়ের তুলনায় কবিতাগুলোর উপর নজর দিচ্ছেন এবং বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে কবিতার ছন্দের মাধ্যমে তারা বিষয়টি সম্পর্কে সুস্পষ্ট ভাবে জানছেন। আধুনিক মানুষ এখন বিনোদনের জন্য বিনোদনমূলক কবিতা গুলো এবং হাসির কবিতা গুলো নিজের বন্ধু বান্ধব কিংবা আপনজনদের সাথে বিনোদনমূলক বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে ব্যবহার করে থাকেন। যেগুলো মানুষকে মানসিকভাবে তৃপ্তি দিয়ে মন ফ্রেশ করতে সাহায্য করে।

হাসির কবিতা

অনেকে অনলাইনে হাসির সুন্দর সুন্দর কবিতা গুলো খুজে থাকেন এজন্য আজকে আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে হাসির বেশ কিছু কবিতা তুলে ধরেছি। আপনারা আমাদের আজকের এই পোস্ট থেকে হাসির কবিতা গুলো সংগ্রহ করে আপনার ব্যক্তিগত জীবনে বন্ধুদের কিংবা আপনার আপনজনদের সাথে হাসির মশকরা কিংবা বিনোদনের জন্য আমাদের এই কবিতাগুলো ব্যবহার করতে পারবেন। নিশ্চিন্তে আমাদের আজকের এই হাসির কবিতা গুলো আপনাদেরকে বিনোদন দিতে সাহায্য করবে। আজকের এই হাসির কবিতা গুলো আপনি ভার্চুয়াল জগতের বন্ধুদের কে বিনোদন দিতে সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ার করে দিতে পারবে। নিচে আপনাদের উদ্দেশ্যে হাসির কবিতা গুলো তুলে ধরা হলো:

নামের গুণ 

আদর ক’রে মেয়ের নাম
রেখেছে ক্যালিফর্নিয়া,
গরম হল বিয়ের হাট
ঐ মেয়েরই দর নিয়া।
মহেশদাদা খুঁজিয়া গ্রামে গ্রামে
পেয়েছে ছেলে ম্যাসাচুসেট্‌স্‌ নামে,
শাশুড়ি বুড়ি ভীষণ খুশি
নামজাদা সে বর নিয়া–
ভাটের দল চেঁচিয়ে মরে
নামের গুণ বর্ণিয়া।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (খাপছাড়া)

মজার দেশ – যোগীন্দ্রনাথ সরকার

এক যে আছে মজার দেশ, সব রকমে ভালো,
রাত্তিরেতে বেজায় রোদ, দিনে চাঁদের আলো !
আকাশ সেথা সবুজবরণ গাছের পাতা নীল;
ডাঙ্গায় চরে রুই কাতলা জলের মাঝে চিল !
সেই দেশেতে বেড়াল পালায়, নেংটি-ইঁদুর দেখে;
ছেলেরা খায় ‘ক্যাস্টর-অয়েল’ -রসগোল্লা রেখে !
মণ্ডা-মিঠাই তেতো সেথা, ওষুধ লাগে ভালো;
অন্ধকারটা সাদা দেখায়, সাদা জিনিস কালো !
ছেলেরা সব খেলা ফেলে বই নে বসে পড়ে;
মুখে লাগাম দিয়ে ঘোড়া লোকের পিঠে চড়ে !
ঘুড়ির হাতে বাঁশের লাটাই, উড়তে থাকে ছেলে;
বড়শি দিয়ে মানুষ গাঁথে, মাছেরা ছিপ্ ফেলে !

কুমড়ো পটাশ

(যদি) কুম্‌‌ড়োপটাশ নাচে-
খবরদার এসো না কেউ আস্তাবলের কাছে ;
চাইবে নাকো ডাইনে বাঁয়ে চাইবে নাকো পাছে ;
চার পা তুলে থাকবে ঝুলে হট্টমুলার গাছে !

(যদি) কুম্‌‌ড়োপটাশ কাঁদে-
খবরদার! খবরদার! বসবে না কেউ ছাদে ;
উপুড় হয়ে মাচায় শুয়ে লেপ কম্বল কাঁধে ;
বেহাগ সুরে গাইবে খালি ‘রাধে কৃষ্ণ রাধে’ !

(যদি) কুম্‌‌ড়োপটাশ হাসে-
থাকবে খাড়া একটি ঠ্যাঙে রান্নাঘরের পাশে ;
ঝাপ্‌সা গলায় ফার্সি কবে নিশ্বাসে ফিস্‌ফাসে ;
তিনটি বেলা উপোস করে থাকবে শুয়ে ঘাসে !

বড়াই

গাছের গোড়ায় গর্ত ক’রে ব্যাং বেঁধেছেন বাসা,
মনের সুখে গাল ফুলিয়ে গান ধরেছেন খাসা।
রাজার হাতি হাওদা-পিঠে হেলে দুলে আসে—
“বাপ্‌রে” ব’লে ব্যাং বাবাজি গর্তে ঢোকেন ত্রাসে!
রাজার হাতি মেজাজ ভারি হাজার রকম চাল;
হঠাৎ রেগে মটাৎ ক’রে ভাঙল গাছের ডাল।
গাছের মাথায় চড়াই পাখি এবাক হ’য়ে কয়—
“বাস্‌রে বাস্‌! হাতির গায়ে এমন জোরও হয়”!
মুখ বাড়িয়ে ব্যাং বলে, “ভাই, তাইত তোরে বলি—
আমরা, অর্থাৎ চার-পেয়েরা, এম্নিভাবেই চলি”।।

ভাল ছেলের নালিশ

মাগো!
প্রসন্নটা দুষ্টু এমন! খাচ্ছিল সে পরোটা
গুড় মাখিয়ে আরাম ক’রে বসে –
আমায় দেখে একটা দিল ,নয়কো তাও বড়টা,
দুইখানা সেই আপনি খেল ক’ষে!
তাইতে আমি কান ধরে তার একটুখানি পেঁচিয়ে
কিল মেরেছি ‘হ্যাংলা ছেলে’ বলে-
অম্‌‌নি কিনা মিথ্যা করে ষাঁড়ের মত চেচিয়ে
গেল সে তার মায়ের কাছে চলে!

মাগো!
এম্‌‌নিধারা শয়তানি তার, খেলতে গেলাম দুপুরে,
বল্‌ল, ‘এখন খেলতে আমার মানা’-
ঘন্টাখানেক পরেই দেখি দিব্যি ছাতের উপরে
ওড়াচ্ছে তার সবুজ ঘুড়ি খানা।
তাইতে আমি দৌড়ে গিয়ে ঢিল মেরে আর খুঁচিয়ে
ঘুড়ির পেটে দিলাম করে ফুটো-
আবার দেখ বুক ফুলিয়ে সটান মাথা উঁচিয়ে
আনছে কিনে নতুন ঘুড়ি দুটো!

অসম্ভব নয় !

এক যে ছিল সাহেব, তাহার
গুণের মধ্যে নাকের বাহার ।
তার যে গাধা বাহন, সেটা
যেমন পেটুক তেমনি ঢ্যাঁটা ।
ডাইনে বললে যায় সে বামে
তিন পা যেতে দুবার থামে ।
চল্‌‌তে চল্‌‌তে থেকে থেকে
খানায় খন্দে পড়ে বেঁকে ।
ব্যাপার দেখে এম্নিতরো
সাহেব বললে, “সবুর করো-
মামদোবাজি আমার কাছে ?
এ রোগেরও ওষুধ আছে ।”
এই না ব’লে ভীষণ ক্ষেপে
গাধার পিঠে বস্‌ল চেপে
মুলোর ঝুঁটি ঝুলিয়ে নাকে ।
আর কি গাধা ঝিমিয়ে থাকে ?
মুলোর গন্ধে টগবগিয়ে
দৌড়ে চলে লম্ফ দিয়ে-
যতই চলে ধরব ব’লে
ততই মুলো এগিয়ে চলে!
খাবার লোভে উদাস প্রাণে
কেবল ছোটে মুলোর টানে-
ডাইনে বাঁয়ে মুলোর তালে
ফেরেন গাধা নাকের চালে ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
x