কবিতা

দুঃখের কবিতা| সেরা দুঃখের কবিতা | Bangla Sad kobita

পৃথিবীতে প্রতিটি মানুষের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে দুঃখ। মানুষের জীবনে যে কয়েকটি অংশ ও গভীরভাবে জড়িয়ে থাকে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে দুঃখ যা মানুষকে সফলতা লাভে সাহায্য করে থাকে। এটি মানুষের জীবনের এমন একটি অংশ যার মধ্যে মানুষ জীবনে একজন খাটি মানুষ হিসেবে নিজেকে তৈরি করতে পারে এবং জীবনের যেকোনো পরিস্থিতিতে নিজেকে শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে সক্ষম হয়। তাইতো প্রতিটি মানুষের জীবনে দুঃখের প্রয়োজন রয়েছে। অনেকেই জীবনের দুঃখ সম্পর্কে সুস্পষ্টভাবে জানার জন্য অনলাইনে দুঃখের কবিতা গুলো অনুসন্ধান করে থাকেন। তাদের উদ্দেশ্যে আজকে আমরা দুঃখের কবিতা গুলো তুলে ধরেছি। আপনি আপনার ব্যক্তিগত জীবনের বিভিন্ন প্রয়োজনে আমাদের আজকের এই কবিতা গুলো ব্যবহার করে উপকৃত হতে পারবেন।

পৃথিবীতে সুখ দুঃখ হাসি আনন্দ দুঃখ কষ্টের মাঝেই মূলত একজন মানুষের জীবন। সবকিছুর মাঝেই জীবনের এই পরিধি রয়েছে। দুঃখ মূলত মানুষের জীবনের এমন একটি পরিস্থিতি যা মানুষকে মাঝে মাঝে হতাশা ও বিষণ্ণতায় ভরিয়ে তোলে এবং প্রতিনিয়ত বিভিন্ন বিষয়ে কষ্ট দিয়ে থাকে। পৃথিবীতে প্রতিটি মানুষের জীবনে কষ্ট রয়েছে। দুঃখ কষ্ট বিহীন কোন মানুষের জীবন হতে পারে না।

অনেকের জীবনে পারিবারিক দুঃখ রয়েছে আবার অনেকের জীবনে ব্যক্তিগত বেশ কিছু দুঃখ রয়েছে যেগুলো মানুষ সহজে কারো কাছে প্রকাশ করতে পারে না। মানুষ হতে চাইলে শারীরিক কিংবা পারিবারিক দুঃখগুলো সহজে ভুলে যেতে পারে কিন্তু মানসিকভাবে যে দুঃখ ও আঘাত পেয়ে থাকে তা কখনোই ভুলতে পারে না। মানুষের জীবনের এই মানসিক দুঃখগুলো একের সময় অনেক মানুষকে কষ্ট ও হতাশা দিয়ে থাকে। যার কারনে মানুষ মাঝে মাঝে ডিপ্রেশনের মত অন্ধকার জগতের দিকে পা বাড়ায়। তাই আমাদের জীবনে দুঃখ যতই হিংস্র হোক না কেন ধৈর্য ধারণ করে তা মোকাবিলা করতে হবে।

দুঃখের কবিতা

প্রতিটি মানুষের জীবনে কোন না কোন দুঃখ রয়েছে পৃথিবীতে দুঃখবিহীন কোন মানুষের জীবন হতে পারে না। কেননা মানুষের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলোর মধ্যেই হচ্ছে একটি দুঃখ যা মানুষকে সুখী হতে সাহায্য করে। তাইতো মানুষের জীবনে দুঃখের প্রয়োজন রয়েছে। অনেকে নিজের ব্যক্তিগত জীবনের দুঃখ কষ্ট গুলো বলার জন্য অনলাইনে দুঃখের কবিতা গুলো খুঁজে থাকেন। তাদের উদ্দেশ্যে আজকে তুলে ধরেছি আমরা দুঃখের কবিতা সম্পর্কিত এই পোস্টটি। আপনি এই পোস্ট থেকে দুঃখের কবিতা গুলো সংগ্রহ করে আপনার ব্যক্তিগত জীবনের দুঃখ কষ্ট গুলো কমানোর জন্য আমাদের এই দুঃখের কবিতা গুলো ব্যবহার করতে পারবেন। আপনার সকল বন্ধুর মধ্যে দুঃখ সম্পর্কে সঠিক তথ্য তুলে ধরার জন্য আমাদের এই কবিতাগুলো তাদের কাছে শেয়ার করতে পারবেন। নিচে দুঃখের কবিতা গুলো তুলে ধরা হলো আপনারা দেখে নিন।

সময় তোমায় ফিরিয়ে দেবে
– অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী

তোমায় জানালাম বিদায় বন্ধু,

সুখে থেকো ভালো থেকো।

চাইছে না প্রাণ ছাড়তে তোমারে-

হৃদয়ে থাকবে জেনো।

সময় বড় শত্রু বন্ধু-

ও যে কাউকে মানেনা।

ছাড়তে কি ইচ্ছে হয় বলো?

বুকফাটা বেদনায় দুচোখ ভেঙে জল আসে গো!

জানি আবার তোমারে পাব বন্ধু,

বাসব ভালো তখনও।

যে সময় ডাক দিল আজ-

কালের গতিতে সেইই আবার ফিরিয়ে দেবে তোমায়

মনে রেখো এও।

তৃষ্ণা
– পার্থ বসু

সেদিন এ হৃদয়ে আমার ধূসর বালুচর, ছিলো তৃষ্ণায় ব্যাকুল এ প্রাণ,,,

ক্লান্তি জড়ানো পায়ে তবুও চলেছি ছুটে করিতে জলের সন্ধান ।

চলেছি ছুটে আমি দিন রাত,

ঘুম নেই চোখে, পেরিয়ে চলেছি কত নির্জন পথ,,

একদিন অবশেষে মন মোর ওঠে হেসে,,

দূর থেকে পাই দেখা,বিশাল সে জল রেখা,,

বিশাল সে মহা সমুদ্র নাহি যার অন্ত নাহি যার দিশা,,

মনে মনে ভাবছি আমি এক চুমুকে সব জল পান করে মিটিয়ে নেবো প্রাণের সব পিপাসা ।

তার বিশাল আকার আকাশছোঁয়া জল তরঙ্গ দেখে আমি মুগ্ধ হলাম,,

পথের সমস্ত ক্লান্তি যেনো মুহূর্তেই সব ভুলে গেলাম।

সমস্ত প্রতীক্ষার অবসান হতেই সেই বিশাল আকার ঢেউ আছড়ে পড়লো আমার গায়ে,,

তার সেই লবণাক্ত জল আমার মুখ অঙ্গ জ্বালিয়ে চলে গেলে ভাটির টানে,আর আমি শামুকের খোলসের মতো বালুচরে রইলাম পড়ে,অচেতন হয়ে,,,।

দুচোখে যেনো আঁধার নেমে এলো,মুছে গেল সব আশা,,,

তুমি ছিলে সমুদ্রের লবণাক্ত জল ঐ, আর ‘তৃষ্ণা’ ছিলো আমার ভালোবাসা,,,,,।

ফিরে আর আসনি
– পার্থ বসু

আজ ও বৃষ্টি আসে, সে দিনে ও এসেছিল যেমন,,

শুধু আজ আর আসো না তুমি,জানি না কোথায় তুমি, আছো গো কেমন?।

একে একে পেরিয়েছে অনেক বছর, আজ আর হয় না তো দেখা,

শুধু স্মৃতি গুলি মনে পড়ে আজ লাগে বড় একা।

সেদিনের মত আজ ও বৃষ্টি ভেজা বিকালে বনফুলের গন্ধ ভেসে আসে,,

শুধু আজ আর আসো না তুমি, তাই এ দু চোখ জলে ভাসে,,

আজও সে গহন রাতে মেঘ ভেঙে উঠেছিল সেই চাঁদ খানি,

শুধু আজ আর আসো না তুমি, না ফিরে আর আসোনি,,।

আজ ও ভোরে ফুটে ছিল সেই নানা ফুল,তবু খালি ফুলদানি,,

শুধু আজ আর আসো না তুমি,না ফিরে আর আসোনি

নীল ব্যথা

জামার বাঁ পকেটে চিঠিটা রেখে

দিতে গিয়েছিলাম তোমাকে-

কিন্তু, আমাকে ফিরিয়ে দিলে,

ভুলেও বললে না দুটো কথা।

একরাশ দুঃখ থেকে গেল।

চিঠির শব্দগুলো প্রকাশ হতে না পেরে-

আকাশচাপা কষ্ট নিয়ে জমাট বেঁধে থাকে।

বুকটা যন্ত্রণায় নিঃশব্দে আর্ত চিৎকার করে ওঠে,

জামার বাঁ পকেটে হাত রেখে দেখি-

হাতে রক্ত লেগে।

তৎক্ষণাৎ মাথা নিচু করে তাকাই-

বুকের বাঁ দিকে উজ্জ্বল করে,

নীল আভা জেগে রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button