নামাজ নিয়ে উক্তি, স্ট্যাটাস ও ক্যাপশন
আসসালামু আলাইকুম সম্মানিত মুসলিম পাঠক ভাই-বোন বন্ধুগণ আপনাদের সকলের উদ্দেশ্যে আমাদের ওয়েব সাইটে আজকে গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিবেদন নিয়ে হাজির হয়েছি। এই প্রতিবেদনটিতে আমরা আপনাদের সকলের উদ্দেশ্যে নামাজ নিয়ে উক্তি স্ট্যাটাস ও ক্যাপশন গুলো তুলে ধরেছি। পৃথিবীতে প্রতিটি মুসলিমের জীবনের নামাজ একটি ফরজ ইবাদত। এর মাধ্যমে একজন মুসলিম মহান আল্লাহতালার সন্তুষ্টি লাভ করতে পারে এবং দুনিয়া ও আখেরাতে সফলতা লাভের সক্ষম হয়। তাইতো আমরা আজকে আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের উদ্দেশ্যে নামাজ নিয়ে উক্তি স্ট্যাটাস ও ক্যাপশন গুলো তুলে ধরেছি। আপনারা আমাদের আজকের এই ক্যাপশনগুলো এর মাধ্যমে নামাজ নিয়ে উঠতে স্ট্যাটাস ক্যাপশন জানতে পারবেন। তাই আশা করা যায় আজকের এই নামাজ নিয়ে ক্যাপশনগুলো আপনাদেরকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার উৎসাহ প্রদান করবে।
পৃথিবীতে মহান আল্লাহ তাআলা ইসলাম ধর্মালম্বীদের জীবনের পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করে দিয়েছেন। বিশ্বের প্রতিটি মুসলিমের জন্য ইসলামের যে ফরজ পাঁচটি স্তম্ভ রয়েছে তার মধ্যে দ্বিতীয় নম্বর হচ্ছে নামাজ। একে আরবিতে সালাত বলা হয়। ফারসি ভাষায় সালাত কে নামাজ বলা হয়। দৈনন্দিন জীবনে একজন মুসলিমের উপর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করা হয়েছে। এই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের মধ্যে রয়েছে ফজর যোহর আসর মাগরিব ও এশা। প্রতিটি মুসলিম এই পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করার মাধ্যমে মহান আল্লাহতালার কাছে সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারে। আল্লাহ তাআলা নামাজের মাধ্যমে প্রতিটি বান্দাকে তার কাছে চাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। নামাজ কে মূলত জান্নাতের চাবি বলা হয়।
কেননা পৃথিবীতে যে ব্যক্তি মহান আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির জন্য নামাজ আদায় করবেন কিয়ামতের দিন মহান আল্লাহ তা’আলা তাকে পুরস্কার হিসেবে চিরশান্তির জান্নাত দান করবেন। তাই আমাদের অবশ্যই মহান আল্লাহ তায়ালার সকল ইবাদতের প্রতি অধিক যত্নশীল হতে হবে সেই সাথে নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে হবে।
নামাজ নিয়ে উক্তি
নামাজ ইসলাম ধর্মালম্বীদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি ইবাদত। এটি মহান আল্লাহতালার পক্ষ থেকে বিশ্বের প্রতিটি মুসলিমের জন্য খরচ করা হয়েছে। দৈনন্দিন প্রতিটি মানুষ পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের মাধ্যমে মহান আল্লাহ তাআলার ইবাদত করে থাকে। ব্যক্তি জীবনে প্রতিটি মানুষের নামাজের গুরুত্ব রয়েছে। তাইতো আমরা আজকে আপনাদের মাঝে সব নামাজের গুরুত্ব তুলে ধরার জন্য নামাজ নিয়ে উক্তিগুলো তুলে ধরেছি। আজকে আমরা আপনাদের মাঝে বিখ্যাত মুসলিম মহামনিশিদের নামাজ নিয়ে সকল উক্তি তুলে ধরেছি। যেগুলো সংগ্রহ করার মাধ্যমে আপনারা নিজে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে পারবেন এবং অন্যকে উৎসাহিত করতে পারবেন। নিচে নামাজ নিয়ে উক্তিগুলো তুলে ধরা হলো:
১ঃ আর নামায কায়েম কর, যাকাত দান কর এবং নামাযে অবনত হও তাদের সাথে, যারা অবনত হয় ।
— সূরা আল বাকারা, আয়াতঃ ৪৩
২ঃ ধৈর্যের সাথে সাহায্য প্রার্থনা কর নামাযের মাধ্যমে । অবশ্য তা যথেষ্ট কঠিন । কিন্তু সে সমস্ত বিনয়ী লোকদের পক্ষেই তা সম্ভব ।
— সূরা আল বাকারা, আয়াতঃ ৪৫
৩ঃ তোমরা নামায প্রতিষ্ঠা কর এবং যাতাক দাও । তোমরা নিজের জন্যে পূর্বে যে সৎ কর্ম প্রেরন করবে, তা আল্লাহ্র কাছে পাবে । তোমরা যা কিছু কর, নিশ্চয় আল্লাহ্ তা প্রত্যক্ষ করেন ।
— সূরা আল বাকারা, আয়াতঃ ১১০
৪ঃ হে মুমিন গন ! তোমরা ধৈর্য ও নামাযের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর । নিশ্চিতই আল্লাহ্ ধৈর্যশীলদের সাথেই রয়েছেন ।
— সূরা আল বাকারা, আয়াতঃ ১৫৩
৫ঃ সমস্ত নামাযের প্রতি যত্নবান হও, বিশেষ করে মধ্যবর্তী নামাযের ব্যাপারে । আর আল্লাহ্র সামনে একান্ত আদবের সাথে দাঁড়াও ।
— সূরা আল বাকারা, আয়াতঃ ২৩৮
৬ঃ হে বনী আদম ! তোমরা প্রত্যেক নামাযের সময় সাজসজ্জা পরিধান করে নাও, খাও ও পান কর এবং অপব্যয় করো না । তিনি অপব্যয়ীদের কে পছন্দ করেন না ।
— সূরা আল আরাফ, আয়াতঃ ৩১
নামাজ নিয়ে স্ট্যাটাস
অনেকেই অনলাইনে নামাজ পড়ার ব্যাপারে সকলকে উৎসাহ প্রদানের জন্য নামাজ নিয়ে বিভিন্ন ধরনের স্ট্যাটাস শেয়ার করে থাকেন। তাদের জন্য আজকে আমাদের ওয়েবসাইটে নামাজ নিয়ে স্ট্যাটাস গুলো তুলে ধরেছি। আপনারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে নামাজ নিয়ে স্ট্যাটাস গুলো শেয়ার সংগ্রহ করার মাধ্যমে নামাজ সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং নিজে নামাজের প্রতি যত্নশীল হতে পারবেন। আপনি আজকের এই নামাজ নিয়ে স্ট্যাটাস গুলো পরিচিত প্রতিটি মানুষের মাঝে শেয়ার করে তাদেরকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের প্রতি উৎসাহ দিতে পারবেন। নিচে নামাজ নিয়ে স্ট্যাটাসগুলো তুলে ধরা হলো:
৭ঃ আর যেসব লোক সুদৃঢ় ভাবে কিতাবকে আঁকড়ে থাকে এবং নামায প্রতিষ্ঠা করে নিশ্চয় আমি বিনষ্ট করবো না সৎ কর্মীদের সওয়াব ।
— সূরা আল আরাফ, আয়াতঃ ১৭০
৮ঃ আমিই আল্লাহ্ আমি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই । অতএব আমার এবাদত কর এবং আমার স্মরণার্থে নামায কায়েম কর ।
— সূরা তোয়া-হা, আয়াতঃ ১৪
৯ঃ নামায কায়েম কর, যাকাত প্রদান কর এবং রসূলদের আনুগত্য কর যাতে তোমরা অনুগ্রহ প্রাপ্ত হও ।
— সূরা আন নূর, আয়াতঃ ৫৬
১০ঃ সবাই তার অভিমুখী হও এবং ভয় কর, নামায কায়েম কর এবং মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না ।
— সূরা আর রুম, আয়াতঃ ৩১
১১ঃ হে বতসো, নামায কায়েম কর, সৎকাজে আদেশ দাও, মন্দকাজে নিষেধ কর এবং বিপদ আপদে সবর কর । নিশ্চয় এটা সাহসিকতার কাজ ।
— সূরা লোকমান, আয়াতঃ ১৭
১২ঃ যারা আল্লাহ্র কিতাব পাঠ করে, নামায কায়েম করে, এবং আমি যা দিয়েছি তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তারা এমন ব্যবসা আশা কর, যাতে কখনও লোকসান হবে না ।
— সূরা ফাতির, আয়াতঃ ২৯
১৩ঃ মুমিন গণ, জুমআর দিনে যখন নামাজের আজান দেয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহ্র স্মরণের পানে তরা কর এবং বেচাকেনা বন্ধ কর । এটা তোমাদের জন্যে উত্তম যদি তোমরা বুঝ ।
— সূরা আল জুমুআ, আয়াতঃ ৯
নামাজ নিয়ে ক্যাপশন
ফারুক বন্ধুরা আজকে আমরা আপনাদের মাঝে নামাজের নিয়ে ক্যাপশন তুলে ধরবো। প্রতিটি মুসলিমের জীবনে নামাজের গুরুত্ব রয়েছে। কিন্তু অনেকেই দুনিয়ার মোহে পড়ে নামাজকে ভুলে গিয়ে বিপথে পা বাড়িয়ে থাকে। আজকে আমরা তাই তো আমাদের ওয়েবসাইটে সকলের উদ্দেশ্যে নামাজ নিয়ে ক্যাপশন গুলো তুলে ধরেছি। আপনারা আজকের এই নামাজ নিয়ে ক্যাপশন গুলোর মাধ্যমে প্রতিটি মানুষকে নামাজের প্রতি অনুপ্রাণিত করতে পারবেন। সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতিটি মানুষের উদ্দেশ্যে আমাদের আজকের এই ক্যাপশন গুলো শেয়ার করতে পারবেন। নিচে নামাজ নিয়ে ক্যাপশন গুলো তুলে ধরা হলো:
১ঃ আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমার উম্মতের উপর সর্বপ্রথম নামাজ ফরজ করেছেন এবং কেয়ামতের দিন সবার আগে নামাজের হিসাব নেয়া হবে।
— আল হাদিস
২ঃ ইসলামের নিদর্শন একমাত্র নামাজ। যে ব্যক্তি একাগ্রচিত্তে ওয়াক্ত ও সময়ের প্রতি লক্ষ রেখে নামাজ পড়ে সেই মুমিন ।
— আল হাদিস
৩ঃ নামাজের দ্বারা শয়তানের মুখ কালো হয়ে যায়।
— আল হাদিস
৪ঃ কোন ব্যক্তি যখন নামাজে দাড়ায় তখন আল্লাহপাক তার দিকে পূর্ণ মনোযোগ দেন। আর যখন সে নামাজ থেকে সরে যায়, তখন আল্লাহও মনোযোগ সরিয়ে নেন।
— আল হাদিস
৫ঃ কোন পাপের কারণে কোন নামাজি জাহান্নামে প্রবেশ করলেও তার সেজদার অঙ্গ জাহান্নামের আগুন স্পর্শ করবেনা।
— আল হাদিস