কবিতা

বিষাদ প্রেমের কবিতা

পৃথিবীতে ভালবাসার সমার্থক শব্দ হিসেবে প্রেম শব্দটি ব্যবহার করা হয়। ব্যক্তিগত জীবনে প্রতিটি মানুষ প্রিয় জনের প্রেমে পড়ে থাকে। পৃথিবীতে বিভিন্ন ধরনের প্রেম রয়েছে। এই প্রেম কখনো কখনো মানুষকে পরম সুখ দিয়ে থাকে আবার কখনো কখনো মানুষের জীবনকে ধ্বংস করে থাকে। একেকজনের সাথে প্রেমের রূপ একেক রকম হয়ে থাকে। এজন্য আজকে আমরা নিয়ে এসেছি আপনাদের উদ্দেশ্যে বিষাদ প্রেমের কবিতা সম্পর্কিত একটি পোস্ট। আজকের এই পোস্ট থেকে আপনারা বেশ কিছু বিষাদ প্রেমের কবিতার সংগ্রহ করতে পারবেন। যেগুলো আপনার ব্যক্তিগত জীবনে আপনার প্রেম সম্পর্কিত সকল ধরনের কষ্ট দূর করে আপনাকে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করবে। আপনারা আমাদের আজকের এই কবিতা গুলো নিজের জীবনের ব্যবহার করে আপনি উপকৃত হতে পারবেন। এক্ষেত্রে আমরা আজকে আপনাদেরকে আজকের এই প্রতিবেদনটির মাধ্যমে সহায়তা করব।

পৃথিবীতে প্রতিটি মানুষ নির্দিষ্ট একটি বয়সের পর ব্যক্তিগত জীবনে প্রিয়জনের অভাব বোধ করে থাকেন। এই অভাব পূরণ করার জন্য তারা নিজের ব্যক্তিগত জীবনে নিজের পছন্দের কিংবা ভালো লাগার মানুষকে খুঁজে থাকেন এবং তার কাছে ভালো লাগা ও ভালোবাসার অনুভূতিগুলো প্রকাশ করে থাকেন। ব্যক্তিগত জীবনে প্রতিটি মানুষ প্রিয় মানুষের সাথে প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ হয়ে প্রিয় মানুষকে বিভিন্ন উপায়ে ভালোবাসার চেষ্টা করে থাকেন। প্রেম মূলত কিছু কিছু মানুষের জীবনকে সুন্দরভাবে সাজাতে সাহায্য করে থাকে আবার কোন কোন মানুষের জীবনে প্রেম ধ্বংসের রুপে প্রবেশ করে থাকে।

কেননা বর্তমান সময়ে অনেকেই প্রেমের নামে মানুষের সাথে মিথ্যে ছলনা করে থাকে যার কারণে প্রেম মানুষের জীবনকে ধ্বংস করে। এই প্রেম তাই তো মানুষের মনে বিষাদ কষ্ট দিয়ে থাকে যার কারণে একজন মানুষ প্রতিনিয়ত প্রেমের দহনে পুরতে থাকবে থাকে এবং নিজেকে তিলে তিলে কষ্ট দিয়ে থাকে। এই কষ্টের যন্ত্রণা মানুষের মাঝে এতটাই তীব্র আকার ধারণ করে যে মানুষ নিজের জীবনকে নিজে ধ্বংস করে থাকে। তাই আমাদের ব্যক্তিগত জীবনে প্রেমের এই বিষাদ তিক্ততা ময় পরিস্থিতিকে বিদায় দিতে হবে।

বিষাদ প্রেমের কবিতা

অনেকেই অনলাইনে বিষাদ প্রেমের কবিতা গুলো অনুসন্ধান করে থাকেন। তাদের জন্য আজকে আমাদের ওয়েবসাইটে এই পোস্টটি তুলে ধরা হয়েছে। আপনারা আজকের এই পোস্টটি সংগ্রহ করার মাধ্যমে বিষাদ প্রেমের কবিতা গুলো সংগ্রহ করতে পারবেন এবং আপনার ব্যক্তিগত জীবনের প্রেমের বিরহের কষ্ট গুলো সহজেই আমাদের এই কবিতা গুলোর মাধ্যমে কমিয়ে আনতে পারবেন। আপনি আমাদের আজকের এই বিষাক্ত প্রেমের কবিতা গুলো আপনার জীবনে কাজে লাগাতে পারবেন এছাড়া প্রতিটি বন্ধু বান্ধবের পরিচিত জনের মাঝে আজকের এই কবিতা গুলো শেয়ার করে দিয়ে তাদেরকে বিষাদ প্রেমের কবিতা গুলো জানাতে পারবেন। এছাড়া আমাদের আজকের এই কবিতা গুলোর মাধ্যমে আপনি প্রেমের বাজে অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারবেন। নিচে বিষাদ প্রেমের কবিতা গুলো তুলে ধরা হলো:

বিষাদী মন

হৃদয়পুরে আগুন জ্বলে, পুড়তে থাকি রোজ
মাসের পর মাস চলে যায়, কেউ রাখে না খোঁজ
বিষাদ বিকেল, বিষাদ সন্ধ্যে, বিষাদ মাখা রাত
বিষাদময় ধরণী আমার, বিষাদী হয় প্রাত
বিষাদ নদী, বিষাদ সাগর, বিষাদ হলো আকাশ
বিষাদ হৃদয় নিঃশব্দে কাঁদে, করেনা প্রকাশ।

প্রতিদিনই চলতে থাকি, চলছি বিষাদ মেখে
পতিত মন হয় যে বিষাদ, শুণ্য হৃদয় দেখে
ভোরের রবি উঠে যখন নদীর ওপর পাড়ে
একাকী প্রাণে বিষাদ তখন কেবল আরো বাড়ে।

এই শহরের হাজার চোখে কতো বিষাদ মাখা
তবুও মুখে হাসি রেখে হচ্ছে সবই ঢাকা।
আগুন লেগে সব পুড়েছে, চলছে এখন খরা
তারো উপর যোগ হয়েছে তোমার অবহেলা।

তুমি চলে যাবে বলতেই – মহাদেব সাহা

তুমি চলে যাবে বলতেই বুকের মধ্যে
পাড় ভাঙার শব্দ শুনি-
উঠে দাঁড়াতেই দুপুরের খুব গরম হাওয়া বয়,
মার্সির কাঁচ ভাঙতে শুরু করে;
দরোজা থেকে যখন এক পা বাড়াও আমি
দুই চোখে কিছুই দেখি না-
এর নাম তোমার বিদায়, আচ্ছা আসি, শুভরাত্রি,
খোদা হাফেজ।
তোমাকে আরেকটু বসতে বললেই তুমি যখন
মাথা নেড়ে না, না বলো
সঙ্গে সঙ্গে সব মাধবীলতার ঝোপ ভেঙে পড়ে;
তুমি চলে যাওয়ার জন্যে যখন সিঁড়ি দিয়ে নামতে থাকো
তৎক্ষণাৎ পৃথিবীর আরো কিছু বনাঞ্চল উজাড়
হয়ে যায়,
তুমি উঠোন পেরুলে আমি কেবল শূন্যতা শূন্যতা
ছাড়া আর কিছুই দেখি না
আমার প্রিয় গ্রন্থগুলির সব পৃষ্ঠা কালো কালিতে ঢেকে যায়।
অথচ চোখের আড়াল অর্থ কতোটুকু যাওয়া,
কতোদূর যাওয়া- হয়তো নীলক্ষেত থেক বনানী, ঢাকা থেকে ফ্রাঙ্কফুর্ট
তবু তুমি চলে যাবে বলতেই বুকের মধ্যে মোচড় দিয়ে ওঠে
সেই থেকে অবিরাম কেবল পাড় ভাঙার শব্দ শুনি
পাতা ঝরার শব্দ শুনি-
আর কিছুই শুনি না।

মন ভালো নেই – মহাদেব সাহা

বিষাদ ছুঁয়েছে আজ, মন ভালো নেই,
মন ভালো নেই;
ফাঁকা রাস্তা, শূন্য বারান্দা
সারাদিন ডাকি সাড়া নেই,
একবার ফিরেও চায় না কেউ
পথ ভুলকরে চলে যায়, এদিকে আসে না
আমি কি সহস্র সহস্র বর্ষ এভাবে
তাকিয়ে থাকবো শূন্যতার দিকে?
এই শূন্য ঘরে, এই নির্বসনে
কতোকাল, আর কতোকাল!
আজ দুঃখ ছুঁয়েছে ঘরবাড়ি,
উদ্যানে উঠেচে ক্যাকটাস্
কেউ নেই, কড়া নাড়ার মতো কেউ নেই,
শুধু শূন্যতার এই দীর্ঘশ্বাস, এই দীর্ঘ পদধ্বনি।
টেলিফোন ঘোরাতে ঘোরাতে আমি ক্লান্ত
ডাকতে ডাকতে একশেষ;
কেউ ডাক শোনে না, কেউ ফিরে তাকায় না
এই হিমঘরে ভাঙা চেয়ারে একা বসে আছি।
এ কী শান্তি তুমি আমাকে দিচ্ছো ঈশ্বর,
এভাবে দগ্ধ হওয়ার নাম কি বেঁচে থাকা!
তবু মানুষ বেঁচে থাকতে চায়, আমি বেঁচে থাকতে চাই
আমি ভালোবাসতে চাই, পাগলের মতো
ভালোবাসতে চাই-
এই কি আমার অপরাধ!
আজ বিষাদ ছুঁয়েছে বুক, বিষাদ ছুঁয়েছে বুক
মন ভালো নেই, মন ভালো নেই;
তোমার আসার কথা ছিলো, তোমার যাওয়ার
কথা ছিল-
আসা-যাওয়ার পথের ধারে
ফুল ফোটানো কথা ছিলো
সেসব কিছুই হলো না, কিছুই হলো না;
আমার ভেতরে শুধু এক কোটি বছর ধরে অশ্রুপাত
শুধু হাহাকার
শুধু শূন্যতা, শূন্যতা।
তোমার শূন্য পথের দিকে তাকাতে তাকাতে
দুই চোখ অন্ধ হয়ে গেলো,
সব নদীপথ বন্ধ হলো, তোমার সময় হলো না-
আজ সারাদিন বিষাদপর্ব, সারাদিন তুষারপাত-
মন ভালো নেই, মন ভালো নেই।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button