কবিতা

কাজলা দিদি কবিতা| কাজলা দিদি – যতীন্দ্রমোহন বাগচী

আমরা কমবেশি প্রতিটি মানুষ কাজলা দিদি কবিতাটির কথা জানি। কাজলা দিদি এই কবিতাটি মূলত কবি যতীন্দ্রমোহন বাগিচির লেখা একটি কবিতা। যেখানে একজন ছোট বোনের দিদির প্রতি ভালোবাসার আকুলতা বর্ণনা করা হয়েছে। কাজলা দিদি কবিতাটির ভাষায় কবি প্রতিটি ক্ষেত্রে দিদির অনুপস্থিতি ও অভাববোধ এর পরিচয় তুলে ধরেছেন। কবিতার প্রতিটি লাইনে পাঠক দিদির অনুপস্থিতি বর্ণনা করেছেন।। কাজলা দিদি কবি যতীন্দ্রমোহন বাগিচির গুরুত্বপূর্ণ একটি কবিতা। তাইতো অনেকেই অনলাইনে যতীন্দ্রমোহন বাগিচির কাজলা দিদি কবিতাটি খুঁজে থাকেন। তাদের জন্য আজকে আমরা আপনাদের ওয়েবসাইটে আপনাদের উদ্দেশ্যে কাজলা দিদি কবিতাটি সম্পূর্ণ তুলে ধরেছি। আপনি আজকের এই কাজলা দিদি কবিতাটি সংগ্রহ করার মাধ্যমে বোনের প্রতি যে আকুলতা প্রকাশ করা হয়েছে সে সম্পর্কে সুন্দরভাবে জানতে পারবেন।

কবি যতীন্দ্র মোহন বাগিচি বাংলাদেশের একজন অন্যতম কবি। যিনি তাঁর জীবনে অসংখ্য কবিতা ছোট গল্প লিখেছেন। যতীন্দ্রমোহন বাগিচির জীবনে জনপ্রিয় সকল কবিতার মধ্যে অন্যতম একটি কবিতা হচ্ছে কাজলা দিদি কবিতা। এটি শিশু-কিশোরদের উদ্দেশ্যে একটি কবিতা। এই কবিতায় কবি কাজলা দিদির প্রতি আকূলতা প্রকাশ করেছেন। কবি প্রতিটি ছন্দে ছন্দে কাজলা দিদিদের অনুপস্থিতি সকলের মাঝে তুলে ধরেছেন এবং সেই সাথে দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত প্রতিটি ক্ষেত্রে কাজলা দিদির সংস্পর্শের কথা জানিয়েছেন। এই কবিতায় ছোট্ট একটি মেয়ের মায়ের সাথে কাজলা দিদি র অভাবের বর্ননা প্রদান করা হয়েছে এবং সেই সাথে কাজলা দিদি র ব্যবহৃত জিনিসের প্রতি সুন্দরভাবে গুরুত্বপূর্ণ প্রদান করা হয়েছে। কবিতাটি মূলত প্রতিটি মানুষকে আপনজনদের গুরুত্ব তুলে ধরতে সাহায্য করে থাকে এবং সেই সাথে আপনজনদের অনুপস্থিতির কষ্ট তুলে ধরতে সাহায্য করে।

কাজলা দিদি কবিতা

কবি যতীন্দ্রমোহন বাগিচির অন্যতম একটি কবিতা হচ্ছে কাজলা দিদি কবিতা। এই কবিতায় এক বোনের দিদির প্রতি ভালোবাসায় এবং দিদির অনুপস্থিতির আকুলতা বর্ণনা করা হয়েছে। কাজলা দিদি কবিতায় কবি সুন্দরভাবে দিদির অনুপস্থিতির কথা ছন্দের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন এবং সেই সাথে ছোট্ট মেয়েটি প্রতিনিয়ত তোমাকে দিদি কবে আসবে সে কথা জানার অধির আগ্রহ গুলো প্রকাশ করেছে। তাইতো অনেকে কবি যতীন্দ্রমোহন বাগিচির কাজলা দিদি কবিতাটি খুঁজে থাকেন। তাদের উদ্দেশ্যে আজকে আমরা কবি যতীন্দ্রমোহন বাগিচির কাজলা দিদি কবিতাটি তুলে ধরব। আপনারা আমাদের আজকের এই পোস্ট থেকে কাজলা দিদি কবিতাটি সংগ্রহ করে কবির ভাষায় আপনজনদের গুরুত্ব বুঝতে পারবেন। তাই আর দেরি না করে চলুন দেখে নেওয়া যাক আমাদের আজকের এই পোস্টটি থেকে কাজলা দিদি কবিতাটি। নিচে কাজলা দিদি কবিতাটি তুলে ধরা হলো:

কাজলা দিদি

– যতীন্দ্রমোহন বাগচী

বাঁশ-বাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই,
মাগো আমার শোলক্-বলা কাজলা দিদি কই?
পুকুর ধারে লেবুর তলে,
থোকায় থোকায় জোনাক জ্বলে,
ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না, একলা জেগে রই,
মাগো আমার কোলের কাছে কাজলা দিদি কই?

সেদিন হতে কেন মা আর দিদিরে না ডাকো;
দিদির কথায় আঁচল দিয়ে মুখটি কেন ঢাকো?
খাবার খেতে আসি যখন
দিদি বলে ডাকি তখন,
ও-ঘর থেকে কেন মা আর দিদি আসে নাকো?
আমি ডাকি, তুমি কেন চুপটি করে থাকো?

বল্ মা দিদি কোথায় গেছে, আসবে আবার কবে?
কাল যে আমার নতুন ঘরে পুতুল বিয়ে হবে!
দিদির মত ফাঁকি দিয়ে
আমিও যদি লুকাই গিয়ে
তুমি তখন একলা ঘরে কেমন ক’রে রবে?
আমিও নাই—দিদিও নাই—কেমন মজা হবে!

ভূঁই-চাঁপাতে ভরে গেছে শিউলী গাছের তল,
মাড়াস্ নে মা পুকুর থেকে আনবি যখন জল |
ডালিম গাছের ফাঁকে ফাঁকে
বুলবুলিটা লুকিয়ে থাকে,
উড়িয়ে তুমি দিও না মা ছিঁড়তে গিয়ে ফল,
দিদি যখন শুনবে এসে বলবি কি মা বল্ |

বাঁশ-বাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই,
এমন সময় মাগো আমার কাজলা দিদি কই?
লেবুর তলে পুকুর পাড়ে
ঝিঁঝিঁ ডাকে ঝোপে ঝাড়ে,
ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না, তাইতো জেগে রই,—
রাত্রি হোল মাগো, আমার কাজলা দিদি কই?

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button