কষ্টের কবিতা| koster kobita
সম্মানিত পাঠক আমরা সকলেই জানি কষ্ট আমাদের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। যা আমাদের জীবনের সাথে গভীরভাবে জড়িয়ে আছে। পৃথিবীতে প্রতিটি মানুষের জীবনে কষ্ট রয়েছে। কারো কারো জীবনে কষ্ট কম রয়েছে আবার কারো কারো জীবনে অনেক কষ্ট হয়েছে। মানুষের জীবনের কষ্ট গুলো বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। মানুষ এই কষ্টগুলো থেকে বিভিন্ন ধরনের অভিজ্ঞতা লাভ করে থাকে। অনেকেই নিজের মনের এই কষ্টগুলো কমানোর জন্য অনলাইনে কষ্টের কবিতা গুলো খুজে থাকেন। তাদের দেশের মূলত আজকে আমরা কষ্টের কবিতা গুলো তুলে ধরেছি। আপনি কষ্টের কবিতা গুলো সংগ্রহ করে আপনার ব্যক্তিগত জীবনের দুঃখ কষ্ট গুলো দূর করার জন্য আমাদের এই কবিতাগুলো ব্যবহার করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আমরা আপনাদেরকে সকল ধরনের কষ্টের কবিতা দিয়ে সাহায্য করবো।
কষ্টের কবিতা বলতে এই মূলত সেই সব কবিতাকে বোঝায় যে কবিতা গুলোর মাধ্যমে মানুষ তার কষ্টের অনুভূতিগুলো কমিয়ে আনতে পারে এবং সকলের মাঝে নিজের মনের কষ্টগুলো প্রকাশ করতে পারে। পৃথিবীতে প্রতিটি কবি ও সাহিত্যিকগণ ব্যক্তিগত জীবনের প্রতিটি মানুষের জন্য বেশ কিছু কবিতা লিখেছেন যেগুলো আমরা আমাদের বাস্তব জীবনে ব্যবহার করে উপকৃত হয়ে থাকি। সেরকমই এই কষ্টের কবিতা গুলো মানব জীবনের সকল ধরনের কষ্টের অভিজ্ঞতা এবং কষ্টের অনুভূতিগুলো শেয়ার করতে সাহায্য করে থাকে।
কষ্টের কবিতা গুলোর মাধ্যমে অনেকেই তার ব্যক্তিগত জীবনের যন্ত্রণাগুলোকে কমিয়ে আনতে পারে। কেননা কষ্ট মানুষের জীবনের এমন একটি অংশ যাকে শেয়ার করার মাধ্যমে মানুষ কমাতে পারে। তাইতো বর্তমান সময়ে অনেকেই কষ্টের কবিতা গুলো ব্যবহার করে ব্যক্তিগত জীবনের কষ্ট গুলো কমিয়ে থাকেন। কষ্টের এই কবিতা গুলো মূলত মানুষের বাস্তব জীবনের দুঃখ কষ্ট গুলো অপরের মাঝে প্রকাশ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
কষ্টের কবিতা
পৃথিবীতে প্রতিটি মানুষের জীবনে কষ্ট রয়েছে। মানুষের জীবনের এই কষ্টগুলোর পার্থক্য রয়েছে। কষ্ট মানুষের জীবনের বিভিন্ন ভাবে এসে থাকে। তাইতো কবিগন মানুষের জীবনের কষ্টের অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য অসংখ্য কষ্টের কবিতা লিখেছেন। যেগুলোর মাধ্যমে মানুষ সহজেই নিজের মনের কষ্টগুলো কমাতে পারে এবং কষ্টের অনুভূতি গুলো সকলের মাঝে প্রকাশ করতে পারে। আমরা আজকে আপনাদের মাঝে সেজন্য নিয়ে এসেছি আমাদের ওয়েবসাইটে কষ্টের কবিতা সম্পর্কিত এই পোস্টটি। আজকের এই পোস্ট থেকে আপনারা কষ্টের কবিতা গুলো সংগ্রহ করে আপনার ব্যক্তিগত জীবনে নিজের মনের কষ্টগুলো কমানোর জন্য আজকের এই কবিতাগুলো ব্যবহার করতে পারবেন। আপনি চাইলে আপনার পরিচিত সকলের মাঝে আমাদের এই কষ্টের কবিতা গুলো শেয়ার করে দিতে পারবেন। নিচে কষ্টের কবিতা গুলো তুলে ধরা হলো:
কষ্ট আমার বুক ভরা, কষ্ট আমার মনে।
কত কষ্ট এই মনে কেউ কি তা জানে?
কষ্ট আমার হাসিতে গো কষ্ট আমার কান্নায়,
তাইতো আমি দিবা রাত্রি ভাসছি কষ্টের বন্যায়।
সুখ নামের ছোট্ট নৌকায় আমি দুঃখের মাঝি,
আমার কষ্টের ভাগ নিতে কেউ হয়না রাজি,
এ জীবনে চলতে গিয়ে পাইনি সুখের দেখা,
শান্ত নদীর মাঝে আমি তাই আছি একা।
ভালো থেকো সন্ধ্যা তারা,
ভালো থেকো হিজল বন,
পুড়ছে পুড়ুক হৃদয় আমার,
পুড়ছে পুড়ুক মন।
ঝরা পাতার বুকের কথা, কে জানতে চায়?
গাছের নিচে পড়ে থেকে নষ্ট হয়ে যায়,
মনের কথা মনেই থাকে, কষ্ট হয় খুব,
চোখের জল অঝোরে ঝরে, তবু থাকি চুপ।
কষ্ট _ রেদোয়ান মাসুদ
আমাকে কষ্ট দিতে চাও?
দাও!
আমি কষ্ট নিতেই এসছি।
আমাকে কাঁদাতে চাও?
কাঁদাও!
আমি কাঁদতেই এসেছি।
আমাকে হারাতে চাও?
হারাও!
আমি হারতেই এসেছি।
আমাকে সাগরে ভাসাতে চাও?
ভাসাও!
আমি ভাসতেই এসেছি।
আমাকে পোড়াতে চাও?
পোড়াও!
আমি পুড়তেই এসছি।
আমাকে বুকে টেনে নাও
নিবে না?
আমি সবকিছু সয়েই এসছি।
চোখে এখন আর জল আসে না
কত কাঁদি, কত একা বসে থাকি
কিন্তু কান্নার আর শেষ হয় না
কাঁদতে কাঁদতে শেষ হয়ে গেছে জলের রাশি
তাইতো এখন আর রুমাল দিয়ে চোখ মুছতে হয় না ॥
তোমাকে হারানোর কথা এখন আর মনে করতে হয় না
চোখের সামনে সবসময়ই ভাসে তোমার ছবি
যে ছবি এখন আর রঙতুলি দিয়ে আঁকতে হয় না
হৃদয়ের ঝরানো সেই রক্ত দিয়ে আঁকা
তাই শুধু শুধু এখন আর কাগজ তুলি নিয়ে বসে থাকতে হয় না ॥
গাছের ডালে এখন আর পাখি ডাকে না
পৌষ মাসেও পাতার ডগায় শিশির জমে না
নদীর বুকে এখন মরুভূমি বাসা বেঁধেছে
যা তোমার সাথে এখন বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়েছে
তাইতো নদীর সেই কলকল ধ্বনি এখন আর কানে আসে না ॥
শত চেষ্টার পরেও এখন আর গান শুনতে পারি না
কারণ বনের পাখি এখন আর গান গায় না
ফুলের বাগানেও এখন আর গন্ধ পাই না
ভোমরাও নাকি এখন আর ফুলের বাগানে আসে না
তাইতো নাক কান এখন আর খোলা রাখতে হয় না ॥
সাগরে নাকি এখন অনেক ঢেউ ওঠে
কিন্তু সেই ঢেউ এখন আর হৃদয়ে দোলা দেয় না
কারণ আকাশে এখন অনেক মেঘ জমে আছে
আর সেই মেঘ পৃথিবীটাকে অন্ধকার করে রেখেছে
তাইতো হৃদয়ে এখন আর বৃষ্টির ছোঁয়া লাগে না ॥
চোখের পাতা এখন আর বোজাতে হয় না
সারাক্ষণ চেয়ে থাকে
এখন আর বারবার বলতে হয় না
আর একটু জেগে থাকো, একটু পরে ঘুমাও
এভাবেই জেগে থাকি ॥
কারো সামনে এখন আর কান্না লুকাতে হয় না
ভেতরে কষ্ট থাকলেও বাইরে দেখা যায় না
কী হয়েছে তোর? এ প্রশ্নের উত্তর দিতে হয় না
কারণ, চোখে এখন আর জল আসে না
তাইতো রুমাল দিয়ে এখন আর চোখ মুছতে হয় না ॥
হারিয়ে গেছে সে – রেদোয়ান মাসুদ
হারিয়ে গেছে সে কোন এক মেঘলা দিনে
বৃষ্টির সাথে ঝড়ো হাওয়া হয়ে
রোদ্রের সাথে কোন এক ভোরবেলায় কুয়াশা হয়ে
কোন এক শেষ বিকেলে গোধূলি লগনে।
হারিয়ে গেছে সে কোন এক অমাবস্যার রাতে
ভয়ংকর কালো অন্ধকার হয়ে
ঘন কালো মেঘের আড়ালে কোন এক বর্ষা কালে
কোন এক অচেনা নদীর স্রোতের সাথে।
হারিয়ে গেছে সে কোন এক প্রাচীন যুগে
হারিয়ে যাওয়া সভ্যতা হয়ে
মহাকালের সাথে কোন এক ভয়ানক দিনে
গন্তব্যহীন কোন এক পথের সাথে।
হারিয়ে গেছে সে কোন এক জ্যোৎস্না রাতে
কারো হৃদয়ে আলোকিত করে
সঙ্গী হয়ে কোন এক অদ্ভুত মহামানবের সাথে
কোন এক অভাগাকে অন্ধকারে ফেলে।
কষ্টগুলো আমারি থাক __ রেদোয়ান মাসুদ
আমার কষ্টগুলো আমারি থাক
বৃষ্টিগুলো আমার চোখ দিয়েই ঝরুক
ঝর্ণার জলগুলো শুধু আমার হৃদয় দিয়েই বের হোক
সকল জল মিলে ঢেউ উঠলে আমার মনেই উঠুক
আর সেই ঢেউয়ে ভেসে গেলে আমিই যাই।
এ কষ্টের জীবনে অন্যকে জড়িয়ে কি লাভ?
চোখ দিয়ে ঝরা জলের মূল্য যে কত
তা হয়তোবা কোনদিন কল্পনাও করতে পারবেনা
তাই আমিও চাইনা এ নিয়ে ভেবে কারো মাথার উপর
আবার পুরো আকাশটা ভেঙ্গে পড়ুক,
মেঘে ঢেকে চোখ দুটি অন্ধ হোক।
.
সুখের নরম ছোঁয়ায় তোমার হৃদয়ে আবেগের ঝর্ণা বহুক
মুখে চাঁদের হাসিতে চারিদিকে আলোকিত হোক
আমি সব সময় তোমার হৃদয়ে আনন্দের বন্যা দেখতে চাই
যা ছড়িয়ে তোমার পুরো শরীরে ভালবাসার ছোঁয়া লাগুক
পাখিদের গানে গানে মনটা আনন্দে ভরে উঠুক
হাসনাহেনার গন্ধে তোমার চারিপাশ শুভাসিত হোক
জ্যোৎস্না রাতের আলোতে চোখ দু’টি পুলকিত হোক।
.
আর দুনিয়ার যত হতাশা এসে আমাকে জাপটে ধরুক
নষ্ট লোকের মস্ত অপবাদ আমার উপরই লাগুক
রাস্তার যত আবর্জনা এসে আমার শরীরে লাগুক
আমি চাইনা এ আবরণ আমাকে ছাড়িয়ে অন্য কারো শরীরে
স্পর্শ করুক, ব্যাকটেরিয়া লেগে পচন ধরুক,
গোধূলি লগণের আন্ধকারের আবহন চোখে পড়ুক।
.
রংধনুর সাত রঙে তোমার হৃদয়ে ভালবাসার রঙ লাগুক
তবুও তুমি সুখেই থাক, সুখ নিয়েই ভাব
কখনও কষ্টে জর্জরিত এই নষ্ট মনে হানা দিও না।
আমার কষ্টগুলো আমারি থাক
বৃষ্টিগুলো সব আমার চোখ দিয়েই ঝরুক
ঝর্ণার জলগুলো আমার হৃদয় দিয়েই বের হোক
তবুও তোমার হৃদয়ে বিন্দুমাত্র কালো ছায়া স্পর্শ না করুক।